জুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধস
No icon

কর কার্যালয়ে করদাতার জন্য অপেক্ষা

গতকাল সেগুনবাগিচা, তোপখানা এলাকার একাধিক কর অঞ্চলে সরেজমিনে এই চিত্র পাওয়া গেছে। দেশের সব কর অঞ্চলে মাসব্যাপী মেলার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা তাঁদের আয়-ব্যয়ের তথ্য জানিয়ে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে মেলায় কর পরিশোধের ব্যবস্থা নেই। গতবার সময় বাড়লেও এবার রিটার্ন জমার সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার কর অঞ্চলের কার্যালয় এখন রূপসী সাজে সেজেছে। আলোকসজ্জা করা হয়েছে। রংবেরঙের শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। অনেকটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সেখানে। তৈরি হয়েছে মেলার পরিবেশ। রিটার্ন জমার আলাদা আলাদা বুথ আছে। আছে সহায়তা কেন্দ্র। মাসব্যাপী রিটার্ন জমার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও করদাতাদের খুব একটা আনাগোনা নেই মেলায়। নভেম্বর মাসের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও করদাতাদের জন্য অপেক্ষা করছেন কর কর্মকর্তারা।

গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির ফটকের পাশে কর অঞ্চল-৫-এর একটি কার্যালয়ে ভিড়ভাট্টা নেই বললেই চলে। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই কর ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচতলা পেরিয়ে দোতলায় উঠে দেখা গেল, রিটার্ন জমার তিনটি বুথই ফাঁকা কোনো করদাতা নেই। কেউ রিটার্ন জমা দিতে আসেননি সেই সময়। নেই কোনো হাঁকডাক। সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, এমনিতে আবহাওয়া ভালো নয়, তাই করদাতারা আজ তেমন একটা নেই। তবে ২০ তারিখের পর করদাতাদের রিটার্ন দেওয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে। এই কর অঞ্চলে কোম্পানি পরিচালকেরা কর দেন। দৈনিক গড়ে ১০০-এর মতো রিটার্ন জমা পড়ে।
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে তোপখানা রোডের পুরোনো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সামনের ভবনের কর অঞ্চল-৭-এর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল সেই একই চিত্র। পাঁচটি বুথ থাকলেও করদাতাদের লাইন নেই। দু-একজন করে এসে রিটার্ন দিচ্ছেন তাঁরা। পাঁচ নম্বর বুথের সামনে দাঁড়াতেই কথা হলো পুরান ঢাকার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। প্রথমে এসেই ই-রিটার্ন কীভাবে দেওয়া যায়, তা খোঁজ করলাম। গত বছর অর্থমন্ত্রী বাজেটে ঘোষণা দিয়েছিলেন, অনলাইনে প্রথমবার রিটার্ন দিলে ২ হাজার টাকা কর মওকুফ পাওয়া যাবে। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম ই-রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এমনকি ওই কর ছাড় এখনো বলবৎ আছে কি না, তা-ও জানানো হয়নি।

কর অঞ্চল-৭-এর কার্যালয়ের পাশাপাশি আরও তিনটি কর কার্যালয় আছে। সেগুলো হলো কর অঞ্চল-১১, কর অঞ্চল-১ ও কর অঞ্চল-৮। এসব কর অঞ্চলের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের নিচতলায় গ্যারেজে কর মেলার যাবতীয় সুবিধা চালু করা হয়েছে। যেমন একাধিক রিটার্ন গ্রহণ বুথ, সহায়তা কেন্দ্র ও ই-টিআইএন সেবা প্রদান বুথ। তেমন একটা ভিড়ভাট্টা নেই। দু-এক দিনের মধ্যে রিটার্ন দিতে এলে নিরিবিলি পরিবেশে নির্বিঘ্ন রিটার্ন দিতে পারবেন করদাতারা।