বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডি
No icon

অনলাইনে রিটার্ন অনলাইনে রিটার্ন

অনলাইনে রিটার্ন জমা এক বছরের ব্যবধানে তিন গুণ বেড়েছে। প্রথমবারের মতো অনলাইনে ব্যক্তিশ্রেণির বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ হিসাবে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২ লাখ ৪ হাজার ৭১৭ জন করদাতা সশরীর কর কার্যালয়ে না গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন।

এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের অক্টোবরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন ব্যবস্থাটি ব্যাপকভাবে চালু করে এনবিআর। শেষ পর্যন্ত ওই ৬১ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন। সেই হিসাবে এবার অনলাইনে রিটার্ন জমা প্রায় ২৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এনবিআরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছর করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন জমা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। ঘরে বসেই তাঁদের রিটার্ন দিতে আগ্রহ বেশি। অনলাইনে রিটার্ন দিলে কর অফিসে যেতে হয় না। অনলাইনের রিটার্ন দেওয়ার আগ্রহ বাড়তে থাকলে হয়রানির অভিযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এ বছর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার রিটার্ন জমার শেষ দিন।

গত ২৫ অক্টোবর এ বছরের অনলাইন রিটার্ন জমার সুবিধা চালু করে এনবিআর। এনবিআরের অনলাইন রিটার্ন ব্যবস্থায় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন। সেখানে স্বয়ংক্রিয় ক্যালকুলেটারের মাধ্যমে হিসাব–নিকাশ করে দেওয়া হয়। গত দুই মাসে অর্থাৎ গত শুক্রবার পর্যন্ত রিটার্ন প্রস্তুত করেছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ১৮০ জন করদাতা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই রিটার্ন জমা দিয়েছেন। বাকিরা পরে দেবেন। আর সব মিলিয়ে এই সময়ে অনলাইনে রিটার্ন জমা ও অন্যান্য সেবার জন্য ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৮ জন নিবন্ধন নিয়েছেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আয়কর আইনজীবীদের অনেকেই তাঁদের মক্কেলদের বার্ষিক রিটার্ন প্রস্তুত করছেন। তাঁরা জমা না দিলেও এই অনলাইন সুবিধায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হিসাব-নিকাশ করে ফেলছেন। কর আইনজীবীরা এখন অনলাইন রিটার্ন ব্যবস্থায় ঝুঁকছেন।

৫১ কোটি টাকা খরচ করে ২০১৬ সালে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। চার বছর চালু থাকার পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলে। ওই চার বছর প্রতিবছর পাঁচ-ছয় হাজার করদাতা বার্ষিক রিটার্ন জমা দিতেন। ২০১৯ সালের পর ওই সিস্টেম বন্ধ করে দেয় এনবিআর। পরে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এনবিআরের আয়কর বিভাগের একটি বিশেষ দল মাত্র দুই কোটি টাকা খরচ করে নতুন অনলাইন ব্যবস্থা চালু করেছে। অনলাইনে রিটার্ন জমা, কর পরিশোধ, রিটার্ন প্রস্তুত, নিবন্ধন নেওয়াসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়। এমনকি রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারও পাওয়া যায়।