বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডি
No icon

রিটার্ন দাখিল সাড়ে ২৮ লাখ, কর আদায় ৪১০০ কোটি টাকা

বিশেষ বিবেচনায় ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল রোববার (১ জানুয়ারি)। এদিন পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন ২৮ লাখ ৫১ হাজার করদাতা। আর আয়কর এসেছে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এদিকে, রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর জন্য প্রায় প্রায় আড়াই লাখ আবেদন জমা পড়েছে।আজ সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দেশে বর্তমানে ৮২ লাখের বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) ব্যক্তি রয়েছেন।জানা গেছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার এখন পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলে প্রবৃদ্ধির হার ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত বছর এই সময়ে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫ করদাতা। বিপরীতে আয়কর এসেছিল তিন হাজার ২৮১ কোটি টাকা।এবার রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি। অর্থাৎ এরা সবাই রিটার্ন দাখিল করবেন বলে আশা করছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। তবে ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় ৩০ নভেম্বর থেকে এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি হওয়ায় ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের সময় পান করদাতারা।করোনা মহামারি বিবেচনায় এ বছর আয়কর মেলা না হলেও এনবিআরের আওতাধীন সারা দেশে ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেওয়া হয়েছে।২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে একমাস সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।