বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডি
No icon

করপোরেট করে শর্ত প্রত্যাহার করতে হবে

গত কয়েকটি অর্থবছরে শর্তসাপেক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করপোরেট কর কমিয়েছে সরকার। কিন্তু জটিল শর্ত পূরণ করে কমানো করহারের সুবিধা নিতে পারছেন না অনেকে। তাই শর্ত পরিহার করে কার্যকর করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।সংগঠন দুটি বলছে উচ্চ কার্যকর করপোরেট করই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে অন্যতম বাধা। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠন দুটির নেতারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, গত অর্থবছরে নগদ লেনদেনের শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রায় সব ক্ষেত্রে করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। কিন্তু দেশের ৮০ শতাংশের বেশি অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি হওয়ায় এ শর্ত পূরণ করে কমানো করের সুবিধা কেউই ভোগ করতে পারছেন না। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের অনেক ব্যয়কে করের আওতায় গণ্য করা এবং উৎসে কর বেশি হওয়ায় কার্যকর কর অনেক বেড়ে যায়। বর্তমানে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে করহার ২০ শতাংশ হলেও প্রকৃতপক্ষে তা ক্ষেত্রবিশেষে বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে কার্যকর করপোরেট কর কমাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন অর্থ আইনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্য তহবিল, অনুমোদিত বার্ধক্য ও আনুতোষিক তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ওপর কর রয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের একই ধরনের তহবিলে কোনো কর নেই। এটি আইনগতভাবে দৃষ্টকটু। তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ কর প্রত্যাহার করা উচিত।এমসিসিআইর প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরে ৪৩ ধরনের সরকারি সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমাদানের প্রমাণপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; যা বাণিজ্যে সক্ষমতা কমার পাশাপাশি ব্যবসা সহজ করার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করছে। এর পরিসর সীমিত করা উচিত। তা ছাড়া বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পণ্যের বিনিময়মূল্যকে সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করে ডেটাবেজ মূল্য বা রেকর্ড মূল্যকে শুল্কায়ন মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক বাজারের হালনাগাদ তথ্যের ডেটাবেজের সঙ্গে এনবিআরের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অটোমেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।