দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

এনবিআরের আদেশে ট্রানজিট অপারেটর , বন্দরে নিয়োগ

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে নিয়মিতভাবে পণ্য পরিবহন শুরুর পথ খুলল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত সোমবার একটি স্থায়ী আদেশ জারি করেছে, যেখানে এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় পণ্যের কয়েকটি চালান বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে আনা-নেওয়া হয়েছে। তখন বিশেষ অনুমোদনের মাধ্যমে সেটা করা হয়েছিল। এখন এনবিআর স্থায়ী আদেশ জারির মাধ্যমে নিয়মিত ট্রানজিট কার্যক্রম শুরুর পথ খুলেছে।

এনবিআরের আদেশে ট্রানজিট অপারেটর নিয়োগ, বন্দরে জাহাজ ভেড়া, ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্টের ঘোষণা, শুল্কায়ন, পণ্যের কায়িক পরীক্ষা, ট্রানজিটকাল ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত প্রক্রিয়া বলা হয়েছে। পরীক্ষামূলক চালানে মাশুলের (ফি) যেসব খাত ছিল, নতুন আদেশে তা বহাল রাখা হয়েছে। তবে নতুন আদেশে সড়কপথে ট্রানজিটের চালান আনা-নেওয়ার সময় এসকর্ট ফি (পাহারার মাশুল) বাড়ানো হয়েছে। আদেশটিতে ট্রানজিট অপারেটর হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত করা এবং সড়কপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি যানবাহন ব্যবহারের কথা রয়েছে। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল ও মেঘালয়) পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বেশি লাগে। এ জন্য দেশটি চট্টগ্রাম বন্দর ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের সড়ক দিয়ে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পণ্য পরিবহন করতে চায়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে চুক্তি হয়। এক বছর পর ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে এ-সংক্রান্ত পরিচালন পদ্ধতির মান বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর  সই হয়। উল্লেখ্য, ভারতের ভূমি ব্যবহার করে বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য করার সুযোগও পেয়েছে।

বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালের এক নম্বর জেটিতে এই জাহাজগুলো ভেড়ানো হয়, যেটি এখন বেশির ভাগ সময় খালি থাকছে। নিয়মিত ট্রানজিট শুরুর পর পণ্য পরিবহন বাড়লেও বন্দরের ওপর চাপ খুব বেশি বাড়বে না। কারণ, বন্দরের পতেঙ্গা টার্মিনালের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। তিনি বলেন, সুবিধা তৈরি হয়ে আছে। নতুন করে ট্রানজিটের জন্য বাড়তি খুব বেশি কিছু করার দরকার হবে না।