ভ্যাট অডিট প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকরদাতাদের মধ্যে ভীতি তৈরি করা যাবে নাযাদের আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্য সাড়ে ৫৭ বিলিয়ন ডলার এস আলমের লাখ কোটি টাকা ঋণ, ব্যাংকে জমা ২৬ হাজার কোটি
No icon

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দ্রুত তারল্য সহায়তা চায় দুর্বল ব্যাংকগুলো

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে একাধিক ব্যাংক। দুর্বল এসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দ্রুত তারল্য সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিরা এই সহায়তা চান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বিএবি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, মিডল্যান্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ বাশার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক ইমরান ইকবাল, পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক ফেরদৌস আলী খান ও ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে তারল্য সহায়তা নিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলো প্রতিনিধিরা গভর্নরকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সিদ্ধান্ত তা দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য আলাদা গাইডলাইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে আলাদা ডিপার্টমেন্টের দাবি জানানো হয় বৈঠকে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি তৈরিতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডকে (এবিবি) যুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বৈঠকে। 

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন একটি স্টেকহোল্ডার কনসালট্রেশন করা যেতে পারে। পলিসিগুলো স্টেকহোল্ডার কনসালট্রেশন থেকে মাথায় রেখে করা যেতে পারে। রিট করে খেলাপি ঋণ বন্ধ রাখার যে প্রবণতা সেটা বন্ধেরও দাবি জানান বিএবি নেতারা। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে গভর্নর বলেন, এজন্য এনপিএল রেগুলেটরি পরিবর্তন করতে হবে। অর্থঋণ আদালতের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো দূর করার জন্যও দাবি জানান বিএবি প্রতিনিধি দল।

গভর্নর বলেন, অর্থঋণ আদালতকে ফাংশনাল করতে হবে। এজন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আমরা কথা বলবো। বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পলিসি বাস্তবায়ন করে সেগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে করার দাবি জানায় বিএবি। গভর্নর বলেন, আন্তর্জাতিক পলিসি স্ট্যান্ডার্ডকে ফলো করে এগুলো করা হয়। বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে যারা করে তাদের আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে হবে।

বিএবি জানিয়েছে, অর্থঋণ আদালতে প্রোপার্টি বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এটা দূর করতে হবে। গভর্নর বলেন, অর্থঋণ আদালতকে কার্যকরী করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বসবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাজগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক করবে।