
রোববার (৫ অক্টোবর) এনবিআরের সদস্য (কর অডিট, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন) দপ্তর থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে। জারি করা এক নির্দেশনায় কর অঞ্চলগুলোর ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেল গঠন, কার্যপদ্ধতি, অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ও অনুমোদন ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন টিম বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য, কর ফাঁকির অভিযোগ, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, আয়কর রিটার্ন বা রেজিস্টারে ঘষা-মাজা কিংবা কাটা-ছেঁড়া, অস্বাভাবিক করমুক্ত আয় প্রদর্শন এবং সম্পদ বিবরণীতে সন্দেহজনক অস্বাভাবিকতা পর্যালোচনা করবে। এসব ক্ষেত্রে টিমগুলো অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণ কার্যক্রম শুরু করবে। অনুসন্ধান পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট কর ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট টিম রাজস্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করবে। পরে কমিটি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দেবে।
এ ছাড়া প্রতিটি কর অঞ্চলকে মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন কার্যক্রম থেকে উদ্ভূত অতিরিক্ত দাবি এবং আদায়ের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এনবিআরে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করার ফলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ, ফাঁকি দেওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ কর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।