দেশে উৎপাদন হয় না- এমন উন্নতমানের কাগজ ও পেপার বোর্ডে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে এই খাতের সাত সংগঠন। সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটের শুল্ক না কমালে এ খাতের ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সেই সঙ্গে দেশের শিক্ষা খাতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলে এসব কথা বলেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, দি বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নেতারা।সংগঠনগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে মুদ্রণ, প্রকাশনা, প্যাকেজিং ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এটি কার্যকর হলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন। এর পরিবর্তে পাঁচ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হলে আমদানি বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল বলেন, চলতি অর্থবছরে পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে বর্তমানে ১৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এটিকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার উলটো আরও ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। বেশি রাজস্ব আয়ের জন্য কেউ হয়তো সরকারকে ভুল বুঝিয়েছে। কিন্তু এতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যদিকে বন্ডের অপব্যবহারের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতারা বলেছেন, কাগজ আমদানিতে শুল্ক বাড়ালে শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়ে যাবে। এতে শিক্ষা খাতে প্রভাব পড়বে। তা ছাড়া পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের সময় কাগজের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তখন স্থানীয় মিলগুলো চাহিদা ও সময়মতো কাগজ সরবরাহ করে না। ফলে কাগজের সংকট সৃষ্টি হয়। এতে কাগজ উৎপাদনকারীরা কয়েক গুণ দাম বাড়িয়ে দেন। এই ধরনের একচেটিয়া ব্যবসা রোধ করতে হবে।