চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ছয় মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। আয় হয়েছে দুই হাজার ৭৫৪ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৮.৫৫ শতাংশ। আর গত বছর একই সময় আয় হয়েছে দুই হাজার ৭৩১ কোটি ডলার। গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, একক মাস হিসাবে ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সঙ্গে গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও কমেছে। ডিসেম্বরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৬২ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৫.৭৫ শতাংশ। আর গত বছর একই সময় আয় হয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.০৬ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যমতে, জুলাই-ডিসেম্বর মাসে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ডলার। আয় হয়েছে দুই হাজার ৩৩৯ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৭.৮৭ শতাংশ। একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৫ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৫২ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ২০.২৩ শতাংশ। এ ছাড়া উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় দুই হাজার ৯৪২ কোটি ডলার। আয় হয়েছে দুই হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। আয় কমেছে ৮.৮৯ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময় আয় হয়েছে দুই হাজার ৬৫৬ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ।
পাশাপাশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৩ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ১১ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ১২.৬৮ শতাংশ। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৫ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৫০ কোটি ডলার। আয় বেশি হয়েছে ১১.৯০ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৯ কোটি ডলার। আয় হয় ৪৩ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ১১.৯৭ শতাংশ। পাশাপাশি গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয় ৪৮ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ১০.২৪ শতাংশ।