অনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবেরমজানে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে কর অব্যাহতিখোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের শুল্ক বাকি ১৮ হাজার কোটি টাকা, ৩৭ চিঠি দিয়েও ব্যর্থ এনবিআরভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবেজুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ভ্যাট দিবস উদযাপন
No icon

নিখোঁজ ৮০ হাজার কোম্পানির সন্ধান

গত এক বছরে প্রায় ৮০ হাজার নতুন কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এত দিন এনবিআরের খাতায় এসব কোম্পানির নাম ছিল না। এসব কোম্পানির মালিকেরা কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেননি, বছর শেষে লাভ-লোকসান নির্বিশেষে কোনো করও দেননি। বছরের পর বছর কর ফাঁকি দিয়ে গেছেন কোম্পানির মালিকেরা। অথচ টিআইএন নিয়ে এসব কোম্পানির কর দেওয়া বাধ্যতামূলক।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করপোরেট কমপ্লায়েন্স নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স এসব লুকিয়ে থাকা কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে। গত বছরের আগস্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) পরিচালক শব্বির আহমেদের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠিত হয়। এখন ওই টাস্কফোর্স কোম্পানির ঠিকানা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারেটের মাধ্যমে টিআইএন ইস্যু করছে।

কোম্পানি গঠন করে টিআইএন না নেওয়ার কিছু অভিনব উদাহরণ পেয়েছেন এনবিআরের ওই টাস্কফোর্সের সদস্যরা। যেমন চট্টগ্রামের একটি শিল্পগোষ্ঠীর একজন পরিচালক একসঙ্গে ৪৬টি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওই শিল্পগোষ্ঠীর সেবা, উৎপাদন, ট্রেডিং ব্যবসা আছে। কিন্তু ওই ৪৬টি কোম্পানির মাত্র চারটি কোম্পানির টিআইএন আছে। টাস্কফোর্স এখন বাকি সব কোম্পানিকে টিআইএন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এই পর্যন্ত ২০টি কোম্পানিকে টিআইএন দিয়েছে। আরেকটি কোম্পানি অর্ধশতাব্দী ধরে ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু কখনো কর দেয়নি। আবার একই ঠিকানা ব্যবহার করে শত শত কোম্পানি খোলার নজিরও আছে। যেমন কারওয়ান বাজারের দুটি ঠিকানা ব্যবহার করে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোম্পানি খোলা হয়েছে। বাস্তবে ওই ঠিকানায় এসব কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।