করজাল বাড়াতে নজর এনবিআরেরএক কোটি ৩১ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রোরিটার্নের প্রমাণপত্র জমা না দিলে গাড়িতে বাড়তি করকরমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো উচিত ছিলকর-ভ্যাটের চাপ আরও বাড়বে
No icon

কর ফাঁকি ধরতে আসছে নতুন সফটওয়্যার

কর ফাঁকি চিহ্নিত করা ও করদাতাদের অডিট-ভীতি দূর করতে সফটওয়্যার তৈরি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।নতুন সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি কর কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচার ক্ষমতা কমবে, কমবে করভীতিও। একই সঙ্গে চিহ্নিত করা যাবে কর ফাঁকি। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিন নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সফটওয়্যারটি তথ্য সংগ্রহের জন্য অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যক্তি ও কোম্পানির জমা দেওয়া রিটার্ন স্ক্যান করার পর ব্যক্তিগত অডিটের জন্য ফাইল বাছাই করবে।এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, করদাতাদের ডেটা তৈরির কার্যক্রম চলছে। তাদের তিন বছরের ডেটা সংগ্রহের কাজ শেষ দিকে। কর বিভাগ সরকারের অন্য সংস্থাগুলোর ডেটাবেইসে প্রবেশাধিকার নিচ্ছে। এর ফলে কর ফাইলে দেখানো আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্যের সঙ্গে সফটওয়্যার অন্য বিভাগগুলোর তথ্য মিলিয়ে দেখে নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন ফাইল চিহ্নিত করতে পারবে। এরপর ওই সব ফাইল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ট্যাক্স রিস্ক ইউনিটে পাঠানো হবে। সেই ইউনিট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোকে অডিটের জন্য নির্দেশনা দেবে।

তবে অডিটের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ফাইল সন্দেহের তালিকায় থাকবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আয়-ব্যয় কিংবা সম্পদের তথ্যে বড় ধরনের গরমিল রয়েছে, এমন ব্যক্তি এর আওতায় আসতে পারেন।আগামী বছর থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করবে সফটওয়্যারটি। এরই মধ্যে অডিট ম্যানুয়াল তৈরি করছে এনবিআর। ওই ম্যানুয়ালের আওতায় সফটওয়্যারের কার্যক্রম চলবে। ট্যাক্স ম্যানুয়াল না থাকায় কর্মকর্তারা এখন ইচ্ছেমতো ফাইল বাছাই করেন।অভিযোগ রয়েছে, এ প্রক্রিয়ায় অনেক করদাতা প্রায়ই হয়রানির শিকার হন। নতুন অটোমেটেড সিস্টেম চালু হলে কর কর্মকর্তারা ইচ্ছামাফিক কর ফাইল অডিটের জন্য বাছাই করতে পারবেন না। কারণ তখন কোন করদাতার ফাইল অডিট করা হবে, তা নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে সফটওয়্যারটিই বেছে নেবে।