অনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবেরমজানে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে কর অব্যাহতিখোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের শুল্ক বাকি ১৮ হাজার কোটি টাকা, ৩৭ চিঠি দিয়েও ব্যর্থ এনবিআরভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবেজুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ভ্যাট দিবস উদযাপন
No icon

জুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবে

গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৫ লাখ বেড়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৪৫ লাখে উন্নীত হবে বলে আশা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সময়ে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা বাড়বে বলেও এনবিআর মনে করছে।সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এনবিআরের এক প্রতিবেদনে এমন প্রত্যাশার কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের কর-জিডিপির অনুপাত অন্যান্য উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের মতো আশাব্যঞ্জক নয়। উন্নত দেশের সোপানে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এ অনুপাত আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ তাগিদ থেকেই উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন মডেল অনুসরণ করে ব্যক্তি পর্যায়ে নতুন করদাতার মাধ্যমে করজাল সম্প্রসারণের লক্ষ্যে টিআরপি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তাছাড়া ই-রিটার্ন প্ল্যাটফর্মে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ হওয়ায় চলতি অর্থবছর টিআইএনধারীর পাশাপাশি রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও বাড়বে। আশা করা যাচ্ছে, চলতি বছর এ সংখ্যা ৪৫ লাখে উন্নীত হবে। গত অর্থবছর শেষে যা ছিল প্রায় ৩০ লাখ।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ। একই অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাস শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৯ লাখে। অর্থবছর শেষে সেটি আরও বাড়বে। কারণ চলতি বাজেটে ৪৩টি সরকারি সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই চলতি অর্থবছর নতুন করে প্রায় ৩০ লাখ লোক টিআইএন নিয়েছেন। এরা সবাই রিটার্ন দাখিল করবেন। অর্থাৎ কয়েক বছরের ব্যবধানের এসব ক্ষেত্রে বেশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। করজাল সম্প্রসারণে এনবিআর যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এনবিআর জানিয়েছে, রাজস্ব বাড়াতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে সরকার আয়কর আইনে সর্বোত্তম চর্চা অনুসরণ করছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে রাজউক ও সিডিএর আওতাধীন এবং এর বহির্ভূত এলাকায় জমি রেজিস্ট্রেশনে কর যৌক্তিক করা হয়েছে। ব্যক্তি করদাতাদের সহজে ও কম সময়ে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বাড়াতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানোর কার্যক্রম চলমান। এদিকে চলতি অর্থবছরে জরিমানা ছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। ওই সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৮১টি। বিপরীতে আয়কর জমা আসে ৫ হাজার ৯০১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ওই সময় টিআইএন নম্বরধারীর সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল হয় ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৬৬১টি।