অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, কর কর্মকর্তাদের চেহারা না দেখলে করদাতারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া হলে হয়রানি বন্ধ হয়। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে আয়কর বিভাগের এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার থেকে অনলাইনে ই-রিটার্ন জমার ব্যবস্থা সব করদাতার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এই অনলাইন রিটার্ন জমার ঠিকানা হলো www.etaxnbr.gov.bd। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ–সংক্রান্ত কল সেন্টার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে। কল সেন্টারের নম্বর ০৯৬৪৩৭১৭১৭১। আগামী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকেই সব করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়া যাবে। আবার এই সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাবে।
অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কর না দিয়ে রাষ্ট্রের কাছে সেবা চাইলে তা পূরণ করা দুরূহ বিষয়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অনেক টাকা আয় করি, কিন্তু কম টাকা কর দিই। এটি ঠিক নয়। বহু লোকের করযোগ্য আয় আছে। তাঁদের করজালে আনতে হবে।’সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘করযোগ্য করদাতাদের করজালে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ বছর ১০ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেবেন বলে আশা করি। এটি ১৫ লাখ হলে ভালো। অসৎ করদাতারা যেন টেবিলের নিচ দিয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৫ হাজার টাকা কর পরিশোধের মাধ্যমে পার পেয়ে না যান।’