TAXNEWSBD
ভ্যাট আহরণে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বড় অর্জন হিসেবে মনে করছে এনবিআর
শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৩ অপরাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ভ্যাট আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগের অর্থবছরের চেয়ে যা প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয় ১১ শতাংশের মতো।এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি বিভাগের সদস্য ড. মইনুল খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত অর্থবছরে অনেকটা বিরূপ পরিস্থিতি ছিল। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিমালার কারণে বেশ কিছু প্রকল্প থেকে ভ্যাট পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত এলসি খুলে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করে স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারেনি। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সেবার মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ পরিস্থিতিতে পণ্যের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে মর্মে এনবিআর জানতে পেরেছে। গত অর্থবছরে ভোজ্যতেলসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে সেখান থেকেও ভ্যাট পাওয়া যায়নি।

এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভ্যাট আহরণে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি একটি বড় অর্জন হিসেবে মনে করছে এনবিআর। এনবিআর থেকে মাঠ পর্যায়ে ভ্যাট আহরণে কঠোর মনিটরিং এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপকরণ-উৎপাদন সহগ হালনাগাদকরণ জোরদার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ভ্যাট আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এক বছরে বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৯২ শতাংশ অর্জন করেছে ভ্যাট অনুবিভাগ।

এনবিআরের ভ্যাট উইংয়ের মাঠ পর্যায়ে ১২টি ভ্যাট কমিশনারেট রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকা দক্ষিণ সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তাদের অর্জন যথাক্রমে ৩৮ দশমিক ৭১, ২৪ দশমিক ৭১ এবং ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভ্যাট আদায় করেছে এলটিইউ ভ্যাট কমিশনারেট। আদায়ের পরিমাণ ৫৮ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বেশি।২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট এসেছে সিগারেট থেকে। আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। মোবাইল ফোন অপারেটরদের থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা।