দেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশঅনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ও নিবন্ধন করবেন যেভাবেনবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেওয়া হচ্ছে ১০ বছরের কর অব্যাহতি
No icon

অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ও নিবন্ধন করবেন যেভাবে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ভ্যাট রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করা অত্যন্ত সহজ। কাগুজে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করলে রিটার্নের তথ্য ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে কিংবা ভ্যাটদাতাদের সংরক্ষণে না-ও থাকতে পারে, যা ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এমতাবস্থায় অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে ঝামেলামুক্ত থাকার জন্য করদাতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে এনবিআর।এনবিআর জানিয়েছে, সব ভ্যাট কমিশনারেট, বিভাগীয় দপ্তর এবং সার্কেল অফিসে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে ভ্যাটদাতাদের সহায়তা দেওয়া হয়। ভ্যাটদাতারা ভ্যাট অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন। অনলাইনে যথাযথ ভ্যাট জমা দিতে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে এবং আধুনিক, অটোমেটেড ভ্যাট ব্যবস্থা নির্মাণে অবদান রাখার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করেছে এনবিআর। জেনে নেওয়া যাক, অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের পাশাপাশি নিবন্ধনের জন্য কী কী করতে হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কেন্দ্রীয় তথ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে দাখিলপত্র পেশ করা যায়। অনলাইনে দাখিলপত্র পেশের সুবিধা হলো করদাতা ঘরে বসেই তা করতে পারেন। ভ্যাট দপ্তরে কোনোরকম যোগাযোগের প্রয়োজন নেই। রিটার্ন দাখিলের কিছু তথ্য মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে নিবন্ধিত এবং তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে টার্নওভার কর দিতে প্রত্যেক কর মেয়াদের জন্য কর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করতে হবে। ১৫ তারিখ সরকারি ছুটি থাকলে তার আগের দিন দাখিল করতে হবে। অনলাইনে দাখিলের ক্ষেত্রে দিনরাত ২৪ ঘণ্টার যে কোনো সময় করা যাবে। অন্যদিকে সুবিধাজনক কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট বা বিভাগীয় সদরদপ্তরে, এনবিআর বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার নির্ধারিত কোনো সেবা কেন্দ্রে, এনবিআর বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার নির্ধারিত কোনো মেলায় এবং এনবিআরের আদেশ দ্বারা নির্ধারিত কোনো স্থানে সশরীরে রিটার্ন দাখিল করা যাবে। নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি দাখিলপত্রে স্বাক্ষর করবেন। যদি কোনো কারণে তাঁর স্বাক্ষর করা সম্ভব না হয়, তবে তাঁর পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি স্বাক্ষর করবেন। প্রত্যেক নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত বা নিবন্ধনযোগ্য বা তালিকাভুক্তযোগ্য ব্যক্তিকে দাখিলপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সময়মতো রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কমিশনার বিলম্বে রিটার্ন দাখিলের অনুমোদন দিতে পারেন। তবে তা এক মাসের বেশি হবে না।

রিটার্ন সংশোধনের জন্যও আবেদনের সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে নিবন্ধনও করা যায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ব্যবস্থায় যে কোনো আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং করযোগ্য সরবরাহকারীকে এ ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হয়। নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এ সম্পৃক্তি সম্পন্ন হয়। তাদের ভ্যাট আইনের আওতায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবসায়িক পরিচিতি নম্বর বা বিআইএন গ্রহণ করতে হয়। বিআইএন গ্রহণ করাকেই নিবন্ধন বলা হয়। অনলাইনে এ নিবন্ধনের সুযোগ আছে। অনলাইন বোর্ডের ওয়েব পোর্টালে এবং বোর্ড পরিচালিত কেন্দ্রীয় তথ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে যা করা হবে। অনলাইনের বাইরে আবেদনকারীর জন্য সুবিধাজনক কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট বা বিভাগীয় সদরদপ্তরে, এনবিআর বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার নির্ধারিত কোনো সেবাকেন্দ্রে, এনবিআর বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার নির্ধারিত কোনো মেলায় এবং এনবিআরের আদেশ দ্বারা নির্ধারিত কোনো স্থানে সশরীরে নিবন্ধন করা যায়।অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য প্রথমে আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর অনলাইনে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নির্বাচন করুন। তখন আপনি ভ্যাট অনলাইন পোর্টালে পৌঁছে যাবেন। প্রথমে ব্যবহারকারীর আইডি এবং পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। ব্যবহারকারীর আইডি তৈরির সময় এর দায়বদ্ধতা নিজেকেই নিতে হবে। ব্যবহারকারীর আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে প্রবেশ করুন এবং নিবন্ধনীকরণ নির্বাচন করুন। ভ্যাট ২.১ ফরম সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং জমা দিন। সঠিকভাবে জমা হলে ভ্যাট নিবন্ধিত সার্টিফিকেট অথবা টার্নওভার ট্যাক্স এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট তৈরি হবে। সিস্টেম থেকে আপনি তা গ্রহণ করতে পারবেন। সিস্টেম থেকে তা আপনার ইমেইলেও পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অনলাইনে কোনো আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে এনবিআরের ওয়েবসাইটে প্রাসঙ্গিক ব্যবহারিক নির্দেশিকা দেখুন।