ভ্যাট-শুল্ক ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিদেশীয় কোম্পানির ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগশুল্ক-কর বাড়লেও দেশের মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে না: প্রেস সচিববাড়তি কর আরোপে বেভারেজ শিল্পে হতাশাঊর্ধ্বমূল্যের বোঝার ওপর ভ্যাটের আঁটি"'
No icon

ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ফরেন চেম্বারের উদ্বেগ

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই বা ফিকি) গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া সাম্প্রতিক ভ্যাট ও অন্যান্য কর বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর বৃদ্ধির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সাধারণ ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং দেশের ব্যবসা পরিচালনার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। এ পদক্ষেপ ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা হুমকির মুখে ফেলতে পারে।এফআইসিসিআইর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পর্যাপ্ত গবেষণা বা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই নীতি প্রণয়ন বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা সংশোধনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করার বিষয়টি দেশীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিবে, যা দেশের ব্যবসার পরিবেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি করবে। ভ্যাটের হার ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিগুলো লোকসান কমাতে পণ্যের দাম বাড়াবে। তাতে খুচরা পর্যায়ে প্রায় আড়াই শতাংশ খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তারা পণ্য কেনা কমিয়ে দিলে সামগ্রিকভাবে সরকারের রাজস্ব কমবে। ফলে শুল্ক ভ্যাট বাড়িয়ে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির কৌশল সম্ভবত অকার্যকর হবে।

সংগঠনটি সরকারের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো পুনর্বিবেচনা এবং পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সরকারের এমন কৌশল নেওয়া উচিত, যা শিল্পগুলোকে তাদের বিক্রয় বাড়াতে উৎসাহিত করে। বিক্রয় বাড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।ফিকি বলেছে, একটি অভিন্ন ভ্যাট হারের অধীনে যদি শতভাগ ইনপুট ভ্যাট পুনরুদ্ধারযোগ্য হয়, তাহলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ালে এর প্রভাব ন্যূনতম হবে। যেসব ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, তার অনেক ক্ষেত্রে ইনপুট ভ্যাট পুনরুদ্ধার অযোগ্য। ফলে ক্ষতি এড়াতে শিল্পগুলো খরচ কমানোর চেষ্টা করলে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়বে। এর চূড়ান্ত প্রভাব হবে ভোগ কমে যাওয়া, যা সামগ্রিক রাজস্ব কমাবে। ফলে উচ্চ করের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল কার্যকর হবে না।উল্লেখ্য, দেশের মোট এফডিআই এর ৯০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে এফআইসিসিআই। এর মধ্যে রয়েছে তামাক, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ উচ্চ-রাজস্ব প্রদানকারী খাতগুলো।