সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরাকরমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না, সুবিধা হারাতে পারে বড় রপ্তানি খাতমাইক্রোবাসে শুল্ক প্রত্যাহার দাবিমার্কিন শেয়ারবাজারে ধস, ডলারের দাম সর্বনিম্ন ২০২৩ সালে দেশের রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
No icon

সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরা

বর্তমান অস্থিতিশীল বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে স্থানীয় অর্থনীতিতে অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ব্যবসায়িক হয়রানি, ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চহার, আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে জটিলতা এবং অসহনীয় যানজটের কারণে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয়বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিকভাবে বিনিয়োগ পরিস্থিতি আশানুরূপ নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।শনিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা, আয়কর ও ভ্যাট, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদহার এবং যানজট শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এসব কথা জানান।রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মপুর ও আদাবর অঞ্চলের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরূপণ ও করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) টোকিও কনভেনশন সেন্টারে এ সভার আয়োজন করে। সভায় উক্ত এলাকার ১০টি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাসহ বেশকিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ, কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সংকট, আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের এসএমইখাতের উদ্যোক্তারা।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।তাসকীন আহমেদ বলেন, ডিসিসিআইয়ের পক্ষ হতে আসন্ন বাজেটে উৎসে করের হার যৌক্তিকভাবে হ্রাস করা, মূসক হার সিঙ্গেল ডিজিটে নির্ধারণ ও অনানুষ্ঠানিকখাতের জন্য ১ শতাংশ হারে মূসক নির্ধারণ এবং ভ্যাট আপ চালুর প্রস্তারের পাশাপাশি সামগ্রিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের উন্নয়ন হবে, সেই সঙ্গে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আহরণ।তিনি আরও বলেন, শিল্পায়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অটোমেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে গতিশীলতা আনায়ন এবং সরকারের পক্ষ থেকে যুগোপযোগী নীতি সহায়তার কোনো বিকল্প নেই।তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কর দিতে চান, কিন্তু আমরা কোনো হয়রানি চাই না। যে কোনো স্তরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আইনের শাসন এবং এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম্স ডিপার্টমেন্ট) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৭ মার্চ একটি মাস্টার সার্কুলার প্রদান করেছে, যেখানে এসএমইদের ঋণপ্রাপ্তির সীমা বৃদ্ধির পাশাপাশি মেয়াদি ঋণের সময়সীমা ৫ বছর থেকে ৭ বছরে উন্নীত করা হয়েছে।