ডলার-সংকট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে দেশে মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সার্বিকভাবে আমদানি কমে গেছে। ব্যাংকগুলো এখন আমদানি ঋণপত্র খোলার বিষয়ে বেশ সাবধানী। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ে গত মাসেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে সার্বিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমে গেছে।
বিদেশি ঋণ পরিশোধে সরকার কিছুটা চাপে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে এ পরিস্থিতি খুব বেশি খারাপ নয় বলে মনে করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা–ডলার অদলবদল (সোয়াপ) সুবিধা চালুর ফলে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ব্যাংকগুলো ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৩৭ কোটি ডলার জমা দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে। এর ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট রিজার্ভ বেড়েছে
প্রায় দুই বছর ধরে দেশে চলছে ডলার সংকট। এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার নেপথ্যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতাকে দায়ী করা হচ্ছে। ডলার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় সংকট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। ডলার আয়-ব্যয়ের
ব্যাংকের ৯-৬ সুদহার তুলে নেওয়ার পর ঋণের সুদহার বেড়ে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য নির্ধারিত ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত জুনে সুদহারের ৯-৬ ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার পর
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির আকার এক হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি, যার গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ আসে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই থেকে। কিন্তু এফডিআই বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও দিনে দিনে কমছে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ।
ভাঙা পাথর আমদানির জন্য বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকে এলসি খুলেছিল ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন। এলসি খোলার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনামতো গ্রাহকের কাছ থেকে শতভাগ নগদ মার্জিন হিসেবে দুই কোটি টাকা জমা নেয় ব্যাংক। তা নেওয়া হয় ব্যাংকেরই দেওয়া