যারা কর দিচ্ছে তাদের ওপর আরও বেশি করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। লোকসান হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসায় টার্নওভার কর ব্যবসায়ীদের জন্য বোঝা। বাজেটে প্রস্তাবসহ আরও কিছু বিষয়ে সংশোধন চায় বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে নিজস্ব কার্যালয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিসিআই। বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, এনবিআরের কর ব্যবস্থা স্বচ্ছ, আধুনিক, যুগোপযোগী এবং সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল করা দরকার।শিল্প খাতে আগাম কর প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বিসিআই সভাপতি বলেন, ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার সঙ্গে আগাম কর ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা ফেরত পাওয়া নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আগাম কর প্রত্যাহার করতে হবে।
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, রাজস্ব আহরণের বর্তমান ব্যবস্থায় যেসব অযৌক্তিক এবং জটিলতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। বাজেটে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাবকে কার্যকর করতে সব ধরনের প্রাপ্তি ও আয় অবশ্যই ব্যাংক স্থানান্তরের শর্ত দেওয়া হয়েছে। একইভাবে ১২ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয় ও বিনিয়োগও ব্যাংক স্থানান্তরের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে। এসব শর্ত বাজেট পাসের সময় তুলে দেওয়া উচিত।তিনি বলেন, বাজেটে সব রপ্তানিমুখী কোম্পানির করহারও ১২ শতাংশ করায় সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক শতাংশ করা হলে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি আগের মতোই উৎসে কর রাখার দাবি করেন।
বিসিআইর অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা করা দরকার। ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র, কুটির শিল্পে সব ধরনের ইউটিলিটির ওপর ভ্যাট অব্যাহিত দেওয়া দরকার, সব শিল্পের ক্ষেত্রে গ্রিন সার্টিফাইড শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ২ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা ইত্যাদি।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এমসিসিআইর সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।