সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরাকরমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না, সুবিধা হারাতে পারে বড় রপ্তানি খাতমাইক্রোবাসে শুল্ক প্রত্যাহার দাবিমার্কিন শেয়ারবাজারে ধস, ডলারের দাম সর্বনিম্ন ২০২৩ সালে দেশের রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
No icon

করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না, সুবিধা হারাতে পারে বড় রপ্তানি খাত

৫৪ বছর পর এবারই প্রথম আগের বছরের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ছোট করতে যাচ্ছে সরকার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকুচিত মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি ব্যয় কমানো ও বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য করতেই আকার কমানোর কথা বলছে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা।বিভিন্ন শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে যারা কর সুবিধা পেয়ে আসছিল, সেই সব কর অব্যাহতির লাগাম টেনে ধরা, কৃষিপণ্য বিপণনে উৎসে কর কমানো, এককভাবে ভ্রমণ কর আদায়, ব্যক্তিগত করহার বৃদ্ধি, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পুরোপুরি বাতিলসহ বাজেটে একগুচ্ছ সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিভিন্ন খাতে কমানো করহার বহাল থাকছে না

আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাজেটের এই আকার চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমায় আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কৃষি, মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতে হ্রাসকৃত করহার উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি পোশাক খাতের কর সুবিধা তুলে নিতে পারে সরকার।সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তার দাবি কৃষি, মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতের কর সুবিধা উঠিয়ে নিতে আগামী বাজেটে এ সংক্রান্ত তিনটি সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ (এসআরও) বাতিল করা হচ্ছে। এসব খাতে সাধারণ করহার প্রযোজ্য হবে। তবে প্রান্তিক মৎস্যচাষিদের সুরক্ষা দিতে ৫ লাখ বা সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত রাখার প্রস্তাব রাখা হতে পারে।এ কর সুবিধার আড়ালে অনেকেই কালো টাকা সাদা করেন বলে দাবি এনবিআর সংশ্লিষ্টদের। সুবিধার অপব্যবহার রোধে এসআরওগুলো বাতিল করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা  বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা দিতে ২০১৫ সালে কর সুবিধা দেওয়া হয়। পরে দেখা গেছে মন্ত্রী-এমপিরা খামারকে মূল আয় দেখিয়েছেন আয়কর নথিতে। এগুলোর ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। নির্বাচনী হলফনামায় দেখা গেছে, মন্ত্রী-এমপিরা কেউ মাছ ব্যবসায়ী, কেউ মুরগি ব্যবসায়ী। এই সুবিধা আগামী বাজেটে থাকবে না।এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এসব খাতে ২০১৫ সালে করারোপ শুরু হয়েছে। এসব খাত আগে সম্পূর্ণ করমুক্ত ছিল। এবার কী হবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।