অনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবেরমজানে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে কর অব্যাহতিখোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের শুল্ক বাকি ১৮ হাজার কোটি টাকা, ৩৭ চিঠি দিয়েও ব্যর্থ এনবিআরভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবেজুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ভ্যাট দিবস উদযাপন
No icon

তথ‌্যপ্রযুক্তির আওতায় কর অব‌্যাহতি চায় পাঠাও

ভার্চুয়াল বিজনেস থেকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/মূসক) হতে অব্যাহতি চায় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পাঠাও লিমিটেড। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বরাবর লেখা সম্প্রতি পাঠানো চিঠিতে পাঠাও লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন মোহাম্মদ ইলিয়াস এই দাবি করেছেন। জাতীয় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর রাইড শেয়ারিং ব্যবসা সংক্রান্ত প্রস্তাব শীর্ষক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটি তথ্যপ্রযুক্তির সেবার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে পাঠাও। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পাঠাও লিমিটেড ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট যাত্রা শুরু করে। সব মিলিয়ে এ ধরনের ১০টির বেশি সার্ভিস চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু গত অর্থবছরে এনবিআর থেকে এসআরও (এসআরও নং ১৬৯-আইন/২০১৮/৭৯২-মূসক) জারি করে মোবাইলফোন অ্যাপসভিত্তিক পরিবহনের রাইড শেয়ারিং সেবাকে পৃথকভাবে ভার্চুয়াল বিজনেস হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে সেবার বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।

চিঠিতে দাবি করা হয়, রাইড শেয়ারিং সেবা ব্যবস্থা একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর অত্যাধুনিক পরিবহন সেবাব্যবস্থা, যা দেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটি দেশের কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখছে। এ সেবার আওতায় অ্যাপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি রাইডার্সদের অংশগ্রহণ, বাছাইকরণ, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমসহ সেবা গ্রহণকারীদের আলাদা কাস্টমার সাপোর্ট, কল সেন্টার ইত্যাদি তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ আইন, ২০১৮ অনুসারে রাইড শেয়ারিং ব্যবসা হতে অর্জিত রাইডারবৃন্দের মোট আয় হতে ৩ থেকে ৪ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন নতুন করে আরোপিত হয়েছে, যা রাইডারদের বা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ন্যূনতম কর মাত্রাকে অতিক্রম করে। এক কথায় বলা যায়, এই সকল রাইডারবৃন্দের বাৎসরিক মোট আয় সরকারের বর্তমান নির্ধারিত ন্যূনতম কর থেকেও বেশি, যা নতুন শিল্পকে বিকশিত করার জন্য আন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চিঠিতে মোট তিনটি দাবি করা হয়েছে- দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা হিসেবে রাইড শেয়ারিং ব্যবসাকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবায় অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে মূসক হতে অব্যাহতি দেওয়া।

এই সেবাকে ১৯৮৪ আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় রাইড শেয়ারিং এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা সরবরাহ অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে অন্তত ২০২৪ সাল পর্যন্ত মূসক হতে অব্যহতি দেওয়া। এবং রাইডি শেয়ারিং ব্যবসা হতে অর্জিত রাইডারবৃন্দের মোট আয় হতে ৩ থেকে ৪ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন এবং একই সাথে টিআইএন না থাকলে ৫০ শতাংশের অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান প্রচলিত আয়কর আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অযৌক্তিক। তাই তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর রাইড শেয়ারিং সেবা খাতকে যেন মূসক ও করমুক্ত রাখা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিশেষ অনুরোধ জানাই।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সেবা খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে এবং ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনে কর অব্যাহতির সময়সীমা কয়েক দফা বৃদ্ধিও করা হয়।