ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) । মূলত যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বাংলাদেশে নিজস্ব কোনো দপ্তর নেই, এজেন্টের মাধ্যমেই বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে, তাদের বিষয়ে এরূপ সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে নতুন ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) নিতে হবে। ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় ওই ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলেও জানা গেছে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এসব কোম্পানিগুলোকে নন-রেসিডেন্স কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ভ্যাট নিবন্ধন দেওয়া হবে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়ছে। খুব শিগগিরেই একটি বিশেষ আদেশ ইস্যু করা হতে পারে বলে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বা গুগলের মতো জনপ্রিয় মাধ্যম থেকে এখন তেমন ভ্যাট পাওয়া যায় না। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের মূসক নিবন্ধন নেই। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। নিবন্ধন এসব প্রতিষ্ঠানের নামে হলেও মূসক এজেন্ট ওই প্রতিষ্ঠানের হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করবে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটারসহ ইউটিউব ও গুগল ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেখানে এসব কোম্পানিকে হয় বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করতে হবে, অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। এই এজেন্টরা ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব প্রদান করবে।
নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রয়োগে ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে এবং তাদেরকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে।