রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোজ্য তেল সরবরাহে দুটি প্রতিষ্ঠানকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেড কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রায় ৮০০ মেট্রিকটন ভোজ্য তেলে ওই ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড। এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আর ওই আদেশ ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় উৎপাদকের নিকট হতে ভোজ্যতেল ক্রয়পূর্বক কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা নাগরিকসহ অন্যান্যদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করবে।
যেহেতু বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুয়ায়ী দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয়ভাবে ক্রয়কৃত খাদ্য সামগ্রীর উপর আরোপণীয় স্থানীয় কর সরকার মওকুফ করার শর্ত রয়েছে।
তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ অনুযায়ী ডব্লিউএফপি এর সাথে স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহকৃত ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত ভ্যাট হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বসুন্ধরা মাল্টি ফুব প্রডাক্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠান দুটি এ পর্যন্ত ৭৮৩. ৮৮৪ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল সরবরাহ করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই তেল সরবারহ করে।
তবে শর্ত থাকে যে, ভ্যাট আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভোজ্যতেল উৎপাদনের ব্যবহৃত উপকরণের উপর পরিশোধিত ভ্যাট রেয়াত গ্রহণ করতে পারবে না। এ অব্যাহতি সুবিধা গ্রহণ করতে একই সাথে ভ্যাট সংক্রান্ত হিসাব রক্ষণসহ কর চালানপত্র ও দাখিলপত্র পেশ করতে হবে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এছাড়া বিগত তিন দশক ধরে মায়ানমার সরকারের সহিংস নির্যাতন থেকে তিন লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অবস্থান করছে।
সবমিলিয়ে বর্তমানে কক্সবাজারে অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।