করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া, ইউরোপে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও দেশে ভ্যাট প্রদানকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। গত এক বছরে নতুন করে প্রায় ৮০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ইবিআইএন) নিয়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।এনবিআর সূত্র জানায়, এক বছর ধরে দেশের সব বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, পৌরসভার বিপণিবিতানে জরিপ করে এসব প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে ভ্যাট বিভাগ। এতদিন এসব প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দিত না।জানা গেচে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার।
সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে এক বছরে এত ভ্যাট নিবন্ধন আগে কখনো হয়নি বলে রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, ৩ লাখ ৭১ হাজার প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও প্রতি মাসে গড়ে আড়াই লাখের মতো প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়েছে।দেশে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নতুন ভ্যাট আইন চালু হয়। এই আইন অনুযায়ী ইবিআইএন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন জমাসহ কোনো সেবা পাবে না।এদিকে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এনবিআর নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৭ হাজার প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট মেশিন অর্থাৎ ইএফডি বসানো হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও তিন লাখ ভ্যাট মেশিন বসানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কাজটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করানো হবে। মাস বা বছর শেষে ওই মেশিন থেকে প্রাপ্ত ভ্যাটের একটি অংশ ওই প্রতিষ্ঠান পাবে।